
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরসভায় অবস্থিত একটি পরিত্যক্ত ভবনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ভবনটি বর্তমানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৫ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে ভবনটির প্রকৃত মালিকানা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে প্রশ্ন ও বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। গত দু’দিনে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়, জামায়াতে ইসলামী একটি সরকারি পরিত্যক্ত ভবন দখল করে সেখানে দলীয় কার্যালয় স্থাপন করেছে। কেউ কেউ আবার দাবি করেছেন, এটি বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ডের পুরাতন অফিস ভবন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে কৌতূহল ও সংশয় বিরাজ করছে আসলে ভবনটি কার?
উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. শাহজাহান আলী জানান, ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল এবং ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। আমরা পাশ্ববর্তী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলে ভবনটি সংস্কার করে বর্তমানে কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছি। ভবনের প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করে ভাড়া দেওয়ারও চেষ্টা চলছে। এটি কোনো সরকারি অফিস দখল নয়, প্রয়োজন হলে আমরা কার্যালয় অন্যত্র স্থানান্তর করব।
এ নিয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, ভবনটি স্বাধীনতার পূর্বে সমবায় সমিতির কার্যক্রমে ব্যবহৃত হতো। এরপর আশির দশকে এখানে বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অফিস স্থাপন করা হয়। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে তুলার চাষ কমে যাওয়ায় বোর্ডের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
অন্যদিকে, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. মারুফ হোসেন জানান, আমাদের পূর্বের রেকর্ড অনুযায়ী এই ভবনটি সমবায় সমিতির নয়। ভবনের প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ডের বগুড়া জোনাল কার্যালয়ের প্রধান কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আমাদের অফিস একসময় সেখানে ছিল, তবে ভবনটি আমাদের মালিকানাধীন নয়।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, ভবনটি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছাঃ শারমিন সুলতানা রিমাকে তদন্ত করে মালিকানার বিষয়টি দ্রুত নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।