
ঝালকাঠিতে শতাধিক বাবুই পাখির ছানা ও ডিমসহ তালগাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় অসংখ্য বাবুই ছানা মারা গেছে ও ডিম নষ্ট হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার পূর্ব গুয়াটন এলাকায়।
শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় বাসিন্দা মোবারক আলী ফকিরের জমির সড়কের পাশে তালগাছটি কাটেন মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। গাছটি কয়েকদিন আগে মোবারক ফকির মিজানুর রহমানের কাছে বিক্রি করেন। এই গাছটিই ছিল এলাকার মধ্যে বাবুই পাখিদের নিরাপদ প্রজনন কেন্দ্র ও একমাত্র আশ্রয়স্থল।
স্থানীয়রা জানান, আলী ফকির তালগাছটি মিজানের কাছে বিক্রি করলে গতকাল বিকেলে গাছটি কাটেন মিজান। গাছটিতে অসংখ্য বাবুই পাখির বাসা ছিল। গাছ কাটার সময় বাসা থেকে অনেক ছানা পড়ে মারা যায়, আর ডিমগুলোও নষ্ট হয়ে যায়। এমন নিষ্ঠুরতায় এলাকাবাসী ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
পূর্ব গুয়াটন এলাকার বাসিন্দা জাহিদ হোসেন জানান, এই গাছটা যিনি বা যারা এটা কেটেছেন, তারা প্রকৃতির বিরুদ্ধে অপরাধ করেছেন। আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
তবে ঘটনা জানার পরও স্থানীয় প্রশাসন বা বন বিভাগ শুরুতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান বলেন, ঘটনা জানার পর আমরা আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যদিও তালগাছটি বন বিভাগের আওতাধীন নয় তবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ২০১২ আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা বন বিভাগকে জানিয়েছি। ঘটনাস্থলে বন কর্মকর্তা পরিদর্শন করেছেন। বন্যপ্রাণী মারার অপরাধে প্রশাসন থেকেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।