• সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৯ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
Headline
আমাদের উত্তরা ফাউন্ডেশন এর নতুন কমিটি গঠন: সভাপতি আলী হোসেন, সম্পাদক এলেন বিশ্বাস নতুন টেন্ডার প্রক্রিয়া জনসাধারণের জন্য হুমকির মুখে – দাবী ঠিকাদারদের জামায়াত-শিবিরের কারণে গণঅধিকার-এনসিপি ক্ষতিগ্রস্ত: রাশেদ খান পাকিস্তানকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুঁশিয়ারি ভারতের সেনাপ্রধানের সমঝোতা হলে ১০০ আসন ছেড়ে দিতে পারে জামায়াত’ টাঙ্গাইলে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নাম ভাঙিয়ে চাঁদা দাবি, থানায় জিডি বিএনপি শিগগিরই ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেবে: সালাহউদ্দিন এনসিপি নেতা মাহিন তালুকদারের ছবি ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার উত্তরায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে “আমাদের উত্তরা ফাউন্ডেশন” ভ্রাম্যমাণ টয়লেট পরিচালনা শিখতে বিদেশ যাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তারা

কাশিমপুরে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক, উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৯২ Time View
Update : শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫

গাজীপুরের কাশিমপুরে হাত বাড়ালেই মিলছে মদ, ফেন্সিডিল, ইয়াবাসহ যে কোনো ধরনের মাদক। মাদক সেবন যেমন মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, তেমনি আইনশৃঙ্খলা অবনতির জন্য অন্যতম দায়ী।

এদিকে, দীর্ঘদিন মাদক সেবনের ফলে মাদকসেবনকারীদের শরীর দুর্বল হয়ে যেমন কর্মক্ষমতা হারিয়ে যায়, ঠিক তেমনি বিভিন্ন জটিল রোগব্যাধি শরীরে বাসা বাঁধে এবং ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি লোপ পায় এবং স্বাভাবিক যৌনশক্তি হারিয়ে যায়।

মহানগরীর কাশিমপুরে তেমনিভাবে যুবসমাজ ধ্বংসের জন্য চলছে মাদকের ছড়াছড়ি। হাত বাড়ালেই মিলছে পাড়া-মহল্লায় প্রায় সব ধরনের মাদকদ্রব্য। মরণনেশা ইয়াবা ও ফেন্সিডিলের ডুবে থাকছে কাশিমপুরের উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত শ্রেণির হাজারো মানুষ।

এই তালিকায় রয়েছে উঠতি বয়সী যুবসমাজ, স্কুল-কলেজের ছাত্র, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। আর এতে করে মহানগরীর কাশিমপুরে মাদকাসক্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এলাকায় উঠতি ও যুবক ইয়াবাসেবীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় অভিভাবক মহলসহ সচেতন ব্যক্তিরা উদ্বিগ্ন-উৎকণ্ঠায় আছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সেবন হলেও তারা দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। ক্ষমতাসীন দলসহ প্রভাবশালীদের নাম ব্যবহার করে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাদক ব্যবসা করছেন কাশিমপুরের বিভিন্ন এলাকায়।

এছাড়াও, এই সব মাদক বিক্রির তালিকায় প্রভাবশালী পরিবারের সন্তানরাও জড়িত। আর প্রভাবশালীদের কারণেই প্রশাসনও রয়েছে ‘নীরব’। মাদকদ্রব্যের মামলায় মাদক ব্যবসায়ীদের আদালতে চালান দেওয়ার কিছুদিন পর জামিনে এসে আবার মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দুর্বলতার কারণে আসামিরা ছাড়াও পেয়ে যায়। ফলে মহানগরীতে মাদকের ছড়াছড়ি হলেও মাদক ব্যবসায়ীরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

কাশিমপুরের রত্তশন মার্কেট, নয়াপাড়া, সুরাবাড়ী, হাতিমারা, এনায়েপুর (পশ্চিম পাড়া), মুন্সি মার্কেট, ইব্রাহীম মার্কেট, বারেক নগর, সাধু নগর, হালিম মার্কেট, আয়নাল মার্কেট, লতিফপুর, হাজী মার্কেট, নবী টেক্সটাইল, পলাশ হাউজিং, মাধবপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি হয়।

এসব এলাকায় সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় বিভিন্ন স্পটে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ ইয়াবা বিক্রেতাদের দেখা যায়। এছাড়াও, কাশিমপুর থানার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ একাধিক স্পটে প্রকাশ্যেই মাদকের ব্যবসা হচ্ছে।

মাদকের নেশার ছোবলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে অল্পবয়সী যুবক। ধ্বংস হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও। নতুন নতুন এসব মাদক ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে বাড়ছে মাদক সেবনকারীর সংখ্যা।

এসব মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক তুলে দিচ্ছে উঠতি বয়সী যুবকদের হাতে, যার মধ্যে বেশির ভাগ স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী। মা-বাবার চোখের সামনে মাদকাসক্ত হচ্ছে ছেলে। তাই মাদকাসক্ত সন্তানদের নিয়ে চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন শিক্ষার্থীর বাবা-মা।

স্থানীয়রা বলেন, কাশিমপুর তথ্য দেশের যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে এসব মাদক ব্যবসায়ীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে যুব সমাজ ধ্বংস হবে।

কাশিমপুরে মাদকের ছড়াছড়ির ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) মোঃ রবিউল হাসান বলেন, “আমরা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার স্যারের দিকনির্দেশনায় নিয়মিত মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছি, এবং আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

 

 

 

Facebook Comments Box


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd
error: Content is protected !!