রাজধানীর উত্তরা আব্দুল্লাহপুর এলাকায় অবস্থিত ১ স্টার আকবর আবাসিক হোটেল। আবাসিক হোটেলের নামে পরিচিতি থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে আড়ালে চলে আসছে অনৈতিক কাজ। প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। আর এই অবৈধ পতিতালয়ে উঠতি বয়সী ছেলেদের আনাগোনাই বেশি। বিশেষ করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। এতে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব অবৈধ দেহ ব্যবসায় জড়িতরা ভ্রাম্যমাণ পতিতা। এদের বড় ধরনের নেটওয়ার্ক রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে এই অবৈধ ব্যবসা করেন তারা।
সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো মনে করে, প্রেমে ব্যর্থতা, স্বামীর অত্যাচার, ইয়াবা সেবন, বিবাহ বিচ্ছেদ, বিলাসিতা, অতিরিক্ত যৌন লালসা ও দারিদ্রতার কারণে দেহ ব্যবসায় নামেন এ সব নারীরা।
জানা যায়, চেহারার সৌন্দর্যতার ভিন্নতায় এদের বিভিন্ন মূল্য দেয়া হয়। ৫শ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত এদের মূল্য নির্ধারণ হয়। বয়সে ছোট ও সুন্দর যৌন কর্মীর চাহিদা সবার কাছে বেশি।
আকবর আবাসিক হোটেলের নামে দিনের পর দিন চলছে এই রমরমা দেহ ব্যবসা। এখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া উঠতি বয়সী তরুণসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের আনাগোনা রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আকবর আবাসিক হোটেলে কর্মরত এক ব্যক্তি জানান, আমি এখানে চাকরি করি। হোটেলের মালিকপক্ষ বিভিন্ন বয়সের নারীদের নিয়ে এসে পতিতাবৃত্তি চালিয়ে আসছেন। এই হোটেলে যে কোনো সময়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ধরনের নারীর দেখা মিলবে।
আবাসিক হোটেলের নামে এই অবৈধ পতিতালয়ের ব্যবসার বিষয়ে আকবর আবাসিক হোটেলের মালিক জানান, আমরা কয়েকজন লোকাল মেয়েকে নিয়ে এ ব্যবসা করি এ কথা সত্য। অনেক কিছুই ম্যানেজ করে এ কাজ করি। এটা করে আমরা বাড়তি কিছু টাকা পাই। নাইলে সংসার চালানো দায় হয়ে যায়। এই নিউজ না করার জন্য প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন হোটেল মালিক।
এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, যেহেতু বিষয়টি আমি জেনেছি আকবর আবাসিক হোটেলটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।পুনরায় অভিযান শুরু করা হবে। অসামাজিক কার্যকলাপ কোথাও চলতে দেওয়া যাবে না।