
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার এক দিনমজুরের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের কালিকাবারি এলাকার ওমরের দুই ছেলে রাসেল ও আউয়ালের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী এই হামলা চালায়। এ সময় ভাঙচুর করে ঘরে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায় তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে একদল দুর্বৃত্ত সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের কালিকাবারি এলাকার দিনমজুর আক্কাস মিয়ার বসতবাড়িতে প্রথমে হামলা চালায়। পরে ঘরে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এরপর পাশের আরও কয়েকটি গাছ কেটে চলে যায় তারা।
ভুক্তভোগীদের দাবি, হামলা চালিয়ে বসতঘর ভাঙচুরের পাশাপাশি নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। বুধবার রাত ৯টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘরে থাকা আসবাবপত্র এলোমেলোভাবে ঘরের মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
ঘটনার পর থেকেই বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন আক্কাস মিয়া। তিনি জানান, ‘আমার বলার কিছু নেই, আমার সব নিয়ে গেছে। আমার ছোট সন্তানদের নিয়ে কোথায় থাকবো, তার ঠিকানা নেই।’
আক্কাস মিয়ার স্ত্রী বেগম বলেন, ‘আমি সকালে মেয়ের বাড়িতে যাই, এসে দেখি আমার সব শেষ করে নিয়ে গেছে। ঘরে থাকা সমস্ত কিছু ভেঙে টাকাপয়সা, স্বর্ণ সব কিছু লুট করেছে। এখন আমি ছোট দুইটা ছেলে ও প্রতিবন্ধী মেয়ে নিয়ে কোথায় থাকবো, খাবো কিছু জানি না।’ প্রশাসনের কাছে বিচারের দাবি করে তিনি।
প্রতিবেশী ইসমাইল জানান, ‘স্থানীয় কয়েকজন ছেলেপেলে হামলা চালিয়ে আক্কাসের ঘর ভাঙচুর করে সব নিয়ে যায়। আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের উপরও তেড়ে আসে তারা। স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের কিছু বলতে পারে না।’
হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করে আউয়াল বলেন, ‘গত ৭ বছর ধরে আমাদের জায়গায় ওরা বসবাস করছে। বারবার বলার পরেও যায়নি। আজকে স্থানীয় মেম্বার, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শ নিয়ে তার ঘর জায়গা থেকে সরিয়ে ফেলি।’
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি অসুস্থ, বাড়িতে আছি, জানি না কিছু।’
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, ‘এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’