
খুলনা নগরীর বয়রা শেরের মোড় এলাকায় ‘দেশি মদ’ পানের পর চার জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেলে গুরুতর অবস্থায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা মারা যান।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- সোনাডাঙ্গার বয়রা শেরের মোড়ের আবদুর রবের ছেলে বাবু (৫০), খালিশপুরের বয়রা মধ্যপাড়ার আবদুস সামাদের ছেলে সাবু (৬০), খালিশপুর জংশন রোডের কালিপদের ছেলে গৌতম কুমার বিশ্বাস (৪৭) এবং খালিশপুরের খুলনা পাবলিক কলেজের তোতা (৬০)।
এদিকে ‘দেশি মদ্যপানের’ ঘটনাস্থলে থাকা এবং একইসঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আজিবর নামে আরও একজন মারা গেছেন। তবে তার পরিবারের সদস্যদের দাবি, আজিবর আগে থেকে অসুস্থ ছিলেন, বিষক্রিয়ায় না, তিনি হৃদরোগে মারা গেছেন।
হাসপাতালের নথিতে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘অজ্ঞাত বিষক্রিয়া’র কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, বাড়িতে তৈরি ‘দেশি মদ’ পানের পর তারা মারা গেছেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি রেজিস্ট্রারে দেখা গেছে, শনিবার বিকাল সোয়া ৪টায় ওই চার ব্যক্তিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের মেডিসিন ওয়ার্ডে নেওয়ার পথেই একে একে সবার মৃত্যু হয়। তখন স্বজনরা তিন জনের মরদেহ নিয়ে দ্রুত বাড়ি চলে যান।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দুপুরে বয়রা এলাকায় তোতা মিয়ার ভাতের হোটেলে বসে মদ খাওয়ার পর ঐ ৫ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সোনাডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দেশি মদ পানে তাদের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য সাবু এবং বাবুর মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরপর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ) মো. হুমায়ুন কবির জানান, অতিরিক্ত কিংবা বিষাক্ত মদ পানের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে কি-না, এটা ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে।
এবি