যশোরে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস নগদের ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের নাটক সাজানো হয়েছিল। নগদ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ও প্রাইভেটকার চালক সাজু ওই টাকা গায়েব করতেই ছিনতাই নাটকের জন্ম দেয়। পুলিশের তদন্তে শেষ পর্যন্ত ঘটনা গোপন থাকেনি। বেরিয়ে এসেছে আসল কাহিনি। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩২ লাখ সাড়ে ৫ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবুল শেখ জানান, ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় নগদের যশোর শাখার কর্মকর্তা সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া হাফেজ পাড়ার জালাল উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম ও প্রাইভেটকারের চালক শহরের পোস্ট অফিস পাড়ার মোহাম্মদ সাজুর কথাবার্তা ছিল সন্দেহজনক। এক জনের কথার সাথে আরেক জনের কথার মিল ছিল না। ফলে রবিউল ও সাজুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়। তারা নিজেরা টাকা গায়েব করতে ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়েছিল।
যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি মঞ্জুরুল হক ভুঞা জানান, গভীর তদন্তে টাকা ছিনতাইয়ের আসল ঘটনা বেরিয়ে এসেছে। নগদ কর্মকর্তা রবিউল ও প্রাইভেটকার চালক সাজু স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩২ লাখ সাড়ে ৫ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। তারা দুইজনসহ মোট ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে ওই টাকা নিজেরা আত্মসাত করতে চেয়েছিল। প্রেস বিফ্রিংয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে নগদ যশোরের একাউন্টেন্ট কাজী মমিনুর ইসলামের কাছ থেকে ৫৫ লাখ টাকা নিয়ে তিনি একটি (ঢাকা মেট্টো গ-১৫-৫৯২৩) প্রাইভেটকারে মনিরামপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন নগদ যশোর শাখার কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম। ওই টাকা মনিরামপুর শাখা সাব অফিসের কর্মকর্তা সাজিদের কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল। পথিমধ্যে কুয়াদার জামতলা মোড়ে পৌঁছালে মোটরসাইকেল আরোহী কয়েকজন দুর্বৃত্ত প্রাইভেটের সামনে গিয়ে গতিরোধ করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা প্রাইভেটের গ্লাস ভাঙচুরের পর টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে পালিয়ে যায় বলে প্রচার করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলী হোসেন (শ্যামল)
ঠিকানা: উত্তরা, ঢাকা ১২৩০
মোবাইল: 01854579306