ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বাঁশঝাড়ে পড়ে থাকা গৃহবধূর লাশ দেখতে এলাকাবাসীর ভিড়। আজ সোমবার সকালে দুওসুও ইউনিয়নের সনগাঁও গ্রামে।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বাঁশঝাড় থেকে হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম খায়রুন আক্তার (২৫)। বাঁশঝাড় থেকে প্রায় ৩০০ গজ দূরে ভুট্টাখেতে ওই গৃহবধূর জুতা পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার সকালে উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের সনগাঁও গ্রামে এ ঘটনা। খায়রুন আক্তার ওই গ্রামের তাজমুল ইসলামের স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের জিয়াখোর গ্রামের সাদেকুল ইসলামের মেয়ে।
খায়রুনের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সপ্তাহখানেক আগে গৃহবধূর স্বামী ধান কাটার শ্রমিকের কাজ করতে কুমিল্লায় গেছেন। তিনি বৃদ্ধা শাশুড়ির সঙ্গে বাসায় থাকতেন। আজ ভোরে দরজা খোলা পেয়ে খায়রুনকে খোঁজাখুঁজি করেন স্বজনেরা। পরে ভুট্টাখেতে জুতা পড়ে থাকা এবং মাটির টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার দাগ অনুসরণ করে বাঁশঝাড়ে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।
গৃহবধূর ভাই আলমগীর জানান, ২০১৭ সালে বোনকে বিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁদের কোনো সন্তান নেই। এ নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে সামান্য কলহ ছিল। তবে অভাবের সংসারে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পরিশ্রম করতেন। সকালে বোনের মরদেহ পাওয়ার খবর শুনে ঘটনাস্থলে এসেছেন তাঁরা। গৃহবধূর স্বামীকে মোবাইলে খবর দেওয়া হয়েছে। তিনি বাসায় আসার জন্য গাড়িতে উঠেছেন।
খায়রুনের মামা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘ভোরে মোবাইল ফোনে ডেকে ঘরের বাইরে এনে আমার ভাগনিকে হত্যা করা হয়। পরে ৩০০ গজ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে লাশ ফেলে রাখা হয়। এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার চাই।’
বালিয়াডাঙ্গী লাশের প্রায় ৩০০ গজ দূরে ভুট্টাখেতে পড়ে ছিল গৃহবধূর জুতা। আজ সোমবার সকালে দুওসুও ইউনিয়নের সনগাঁও গ্রামে।
গৃহবধূর শাশুড়ি দবিজান বলেন, ‘ভোরে খায়রুনের গলার স্বর শুনতে পেয়েছিলাম। এরপরে সকালে উঠে দেখি দরজা খোলা। কোন সময় খায়রুনকে বাইরে নিয়ে গেছে, বলতে পারছি না। ছেলেটাও বাইরে (কুমিল্লায়)।’
বালিয়াডাঙ্গী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দিবাকর অধিকারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাঁশঝাড় থেকে খায়রুন নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলী হোসেন (শ্যামল)
ঠিকানা: উত্তরা, ঢাকা ১২৩০
মোবাইল: 01854579306